Monday, November 16, 2015

“বিশ্বাস ও মূল্যবোধ অঙ্গাঅঙ্গি ভাবে জড়িত”- উক্তিটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করুন।

উত্তরঃ বিশ্বাস ও মূল্যবোধ অঙ্গাঅঙ্গি ভাবে জড়িতঃ বিশ্বাসের ভিত্তির উপর গড়ে উঠে মূল্যবোধের কাঠামো। মানুষ তার বিশ্বাসের ভিত্তিতে জীবন পরিচালনা করে। জীবনের প্রতিটি স্তরে বিশ্বাসের প্রতিফলন ঘটাতে মূল্যবোধকে প্রয়োগ করে। যেমন একজন ব্যক্তি মানবিকতায় বিশ্বাসী। তিনি জীবজগতের প্রতি সবসময় সহানুভূতিশীল। এখানে তার বিশ্বাস তাকে মানবিক আচরন করতে উদ্বুদ্ধ করেছে। সে কারনে তিনি মানবিক আচরনকে গুরুত্ব দেন বা মূল্য দেন। এটাই তার মূল্যবোধ। শিক্ষকের জন্য বিশ্বাস হচ্ছে, “নিজেই চিন্তা ভাবনা করে প্রতিনিয়ত শ্রেণীকক্ষের ভিতরে ও বাইরে কমিউনিটির বিভিন্ন পরিবর্তিত পরিস্থিতির জন্য নিজেকে প্রস্তুত রাখা

এই বিশ্বাস শিক্ষক একদিনে অর্জন করে না, শিক্ষকতা পেশায় যোগদান করার পর থেকেই তিনি ভেবে অস্থির হতে থাকেন শিক্ষকতা কার্যাবলির মধ্যে তিনি কি কি নতুন বিশ্বাস/মূল্যবোধ সংযোজন করবে।

এই পেশায় নিয়োজিত হয়ে তিনি ধীরে ধীরে নতুন ধারনকৃত বিশ্বাসসমুহকে পরিমার্জিত করেন, যুগোপযোগী ধনাত্বক বিশ্বাস সংযোজন করেন বা পুরাতন বিশ্বাসসমুহকে পরিবর্তিত আকারে ধারন করেন।

শুধু বিশ্বাস থাকলেই হবে না তাকে কিছু প্রয়োজনীয় মূল্যবোধ অনুসরন করতে হয়।

শিক্ষক শ্রেনীকক্ষে শিক্ষন-শিখনে নিজস্ব ব্যক্তি সত্ত্বার কতখানি “ কমিউনিটি বা দলের জন্য প্রয়োজনীয় মূল্যবোধ হিসেবে সম্পৃক্ত করতে পারবেন তার উপরই তাঁর সাফল্য নির্ভর করবে।

শিক্ষকের বিশ্বাস ও মূল্যবোধের ধনাত্বক প্রতিফলনের মাধ্যমে তার শিক্ষনের সার্থকতা সমাজে স্পষ্টরূপে ধরা পড়বে। অর্থাৎ বিশ্বাস ও মূল্যবোধ অঙ্গাঅঙ্গি ভাবে জড়িত। এর একটিকে বাদ দিয়ে কখনই পরিপূর্ণতা আশা করা যায় না। উদাহরণ সমুপ বলতে পারি, আমরা বিশ্বাস করি যে চুরি করা, ঘুষ খাওয়া, অন্যায়-অবিচার করা, কারও মনে দুঃখ দেওয়া, কারও হক নষ্ট করা, কারও ক্ষতি করা প্রভৃতি বহুবিধ কাজ আছে যেগুলো খারাপ। কিন্ত এই বিশ্বাসকে মূল্যবোধ হিসেবে না নেয়া অর্থাৎ আমরা যদি নিজের জীবনে তা অনুসরন না করি বা অনুসরন করার প্রযোজন বোধ না করি তবে এই বিশ্বাস অর্থহীন হবে।

No comments:

Post a Comment